রমযান মাসের ৩০ আসর ও সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ -২ টি বই
প্যাকেজ যা যা থাকছে
রমযান মাসের ৩০ আসর
বিশ্ববরেণ্য দাঈ ও ফকীহ শায়খ ইবন উসাইমীন (র) কর্তৃক আরবী ভাষায় লিখিত ‘মাজালিসু শাহরি রামাদান’
নামক বিখ্যাত গ্রন্থের অনুবাদ এটি। তাকওয়া অর্জনের মাস হিসেবে রমযানকে কেন্দ্র করে নামকরণ হলেও মাহে রমযান,
কুরআন ও সিয়াম-সহ ইসলামী জিন্দেগীর অনেক মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও রূপরেখা এতে সন্নিবেশিত হয়েছে।
সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ, যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হিদায়াতের বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন।
তাকে দু’ধরনের ওহী দিয়েছেন। একটিকে বলা হয় ওহী মাতলু বা তিলাওয়াত করে সাওয়াবের অধিকারী হওয়ার জন্য প্রদত্ত ওহী, আর তা হচ্ছে কুরআন।
দ্বিতীয়টিকে বলা হয় ওহী গাইরে মাতলু বা তিলাওয়াত করে সাওয়াব লাভের জন্য নয়। উভয় প্রকার ওহী মানুষকে সরাসরি হিদায়াতের দিকে ধাবিত করে, আকীদা-বিশ্বাস ও আমল কী হবে তা নির্ধারণ করে দেয়।
কুরআনে কারীমে অধিকাংশ বিষয়ে মৌলিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস সে বিষয়টিকে পূর্ণ বর্ণনার মাধ্যমে সহজ করে তুলে ধরেছে।
কুরআনের কিছু বিধান মুতলাক বা উন্মুক্ত, হাদীস তা মুকাইয়াদ বা শর্তযুক্ত করেছে। কুরআনের কিছু বিধান আম বা ব্যাপক হিসেবে এসেছে, হাদীস সেটাকে বিশেষত্ব প্রদান করেছে।
কুরআনের কিছু বিধান মুজমাল বা সংক্ষিপ্ত আকারে এসেছে, হাদীস সেটার বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে এসেছে। কুরআন কোথাও দ্ব্যর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করেছে, অপরদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে সেটার অর্থকে সন্দেহাতীতভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস ও সুন্নাহ যার কাছে যত বেশি জানা থাকবে সে তত বড় আলেম ও জ্ঞানী বিবেচিত হবে।
জগতে কুরআন ও হাদীসের সম্মিলিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই কোনো মানুষকে মুজতাহিদ, আলেম, ফাযেল ইত্যাদি বলা চলে। কুরআনে কারীমের ইলমের সাথে যার কাছে যত হাদীসের ভাণ্ডার থাকবে তিনি তত বেশি বিপদমুক্ত থাকবেন।
এজন্যই সালাফগণ বলতেন, ‘সুন্নাহ হচ্ছে নূহের কিশতি, যে কেউ তাতে আরোহন করবে সে বেঁচে যাবে, আর যে কেউ তাতে আরোহন করা থেকে বিরত থাকবে সে ডুবে মরবে।
আলোচ্য গ্রন্থটি তেমনি একটি হাদীস সংকলন, যাতে সাওম (রোযা) বিষয়ক সহীহ হাদীসকে একত্রিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর সংকলন যোগ্য মানুষদের দ্বারাই হয়েছে।
আর এর সম্পাদনা আল্লাহ আমাকে দিয়ে করিয়েছেন। যে কেউ এ কিতাবে বর্ণিত হাদীসসমূহ পড়বে সে সাওম বিষয়ের অনেক মাসআলার সমাধান তাতে পেয়ে যাবে। বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসই মানুষকে সোনার মানুষে পরিণত করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস শোনা,
সংরক্ষণ ও অন্যের কাছে স্থানান্তর করলে আল্লাহ সেসব মুহাদ্দিসের চেহারা আলোয় উদ্ভাসিত করে দিবেন বলেও সহীহ হাদীসে সুসংবাদ জানানো হয়েছে।
সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের ওপর কর্তব্য হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস পড়া, হাদীসের ব্যাখ্যা জানা ও হাদীসের ওপর আমল করা।
সাওম বিষয়ক উপর্যুক্ত চাহিদা পূরণার্থে আমাদের এ গ্রন্থটি অনেক কাজে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। আল্লাহর কাছে দো‘আ করি, তিনি যেন আমাদের এ সম্মিলিত প্রচেষ্টা কবুল করেন,
আমাদের জন্য তা নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। এর পিছনে যারা শ্রম ব্যয় করেছে তাদের সকলকে দুনিয়া ও আখেরাতে পুরষ্কৃত করেন। আমীন। আমীন।
— প্রফেসর ড. আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
Reviews
There are no reviews yet.